মানবতার কন্ঠ ডেস্ক:
ইরানের ইসফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে৷ এদিকে কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে৷ ইরানের কয়েকটি শহরের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা৷ সিরিয়ায় ইরানের কনসুলার ভবনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান৷ এর জবাবে ইরানে হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল ইসরায়েল৷
এদিকে, ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রতিশোধ নেওয়ার ইরানের কোনো পরিকল্পনা নেই৷ পেন্টাগন ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি৷ বিস্ফোরণের কারণে কী ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়৷
এদিকে, ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও দাবি করা হলেও ইরানের ইসফাহান বা অন্য কোনো অংশে বিদেশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যায়নি৷
ইরানের তিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ছোট ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে, যেগুলো সম্ভবত ইরানের ভেতর থেকে ওড়ানো হয়েছে৷ এছাড়া ইরানের আকাশসীমায় অপরিচিত কোনো বিমানের খোঁজও রাডারে ধরা পড়েনি বলে জানান তারা৷
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ফারস জানিয়েছে, ইসফাহান বিমানবন্দর ও শেকারি আর্মি এয়ারবেসের কাছে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷
এদিকে, ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে সফলভাবে ভূপতিত করা হয়েছে৷ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, মিসাইল হামলার কোনো খবর নেই৷
ইসফাহানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিয়াভাশ মিহানদুশত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, আকাশে টার্গেট লক্ষ্য করে ডিফেন্স সিস্টেমের ছোঁড়া গুলির শব্দ মানুষ শুনেছে৷ সমতলে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি৷ ইসফাহানের পরমাণু অবকাঠামোতে কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ৷
কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে আগাম জানানো হয়েছিল৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি অনুমোদন করেনি এবং এটি কার্যকরে কোনো ভূমিকাও রাখেনি বলে জানান ঐ কর্মকর্তারা৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না৷ ইটালির কাপ্রিতে জি-সেভেনের বৈঠকে উপস্থিত আছেন তিনি৷
ব্লিংকেন বলেন, তার দেশসহ জি-সেভেন উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও জানিয়েছেন, উত্তেজনা কমাতে তারা বন্ধু ও মিত্র দেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে৷
এদিকে, উত্তেজনা কমাতে সব পক্ষকে সংযম অনুশীলনের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি শুক্রবার এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রশংসা করেন৷ তবে ইসফাহানে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উল্লেখ করেননি৷
Leave a Reply