মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া দর্জিবাড়ি মাঠে শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আওলাদ খান গং ও আল-আমীন খান গং-এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলির শব্দ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
তবে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড ও কোস্টগার্ড ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে গুলির শব্দ ও হইচই শুরু হয়। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
একাধিক ব্যক্তি জানান, আওলাদ হোসেন খান ও আল-আমিন খান গং-এর মধ্যে পুরনো শত্রুতার জের ধরেই এ সংঘর্ষ ঘটে।
এ বিষয়ে শ্রমিক দল নেতা মোঃ আওলাদ হোসেন খান বলেন, “আল-আমিন খান তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ও প্রতিবেশী একটি বাড়িতে ভাঙচুর করে। তারা ৪০-৫০ জনের একটি দল ছিল এবং তাদের কাছে বন্দুক ছিল, যার দ্বারা গুলি চালানো হয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।
অপরদিকে,যুবদল নেতা মোঃ আল-আমিন খান বলেন, আমার আওলাদ হোসেনের সাথে ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। ঘটনার শুরু হয় ছাত্রদল ও যুবলীগ কর্মীদের হাতাহাতি থেকে। পরে দর্জিবাড়ি মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে আওলাদ গং-এর সহযোগিতায় কিছু অস্ত্রধারী যুবলীগ কর্মী গুলি চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “এতে মসজিদের মুসল্লি এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আমাদের কিছু সমর্থক প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।”
এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষ ঘটে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply