রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে জটিলতার অবসান হয়নি। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হবে না।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির নাম বৃষ্টি খাতুন নিশ্চিত হওয়ার পর তার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে- শনিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন খবর আসে।
এ প্রসঙ্গে ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি ফরেনসিক বিভাগ দেখছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
ওই নারীর মরদেহ নিতে কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে বাবা ও মা দাবি করা সবুজ শেখ ও বিউটি বেগম ছাড়া অন্য কেউ আসেননি। এরই মধ্যে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষায় দেখা যায় এনআইডিতে তার নাম বৃষ্টি খাতুন হিসেবে নিবন্ধিত। বাবার নাম সবুজ শেখ, মায়ের নাম বিউটি বেগম। বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।
তবে জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রে কোনোটিতে বৃষ্টি খাতুন আবার কোনোটিতে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামটা দেওয়া আছে। এসব নথিতে বাবার নামের জায়গায় সাবরুল আলম সবুজ এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা থাকলেও চাকরির জন্মবৃত্তান্তে মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী লেখা।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবা (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি। ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। অভিশ্রুতিও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
এদিকে ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, মন্দিরের পক্ষ থেকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং জেলা প্রশাসক বরাবর অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply