বিদেশ ডেস্ক:
তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের জনবিরল কাউন্টি হুয়ালিয়েনে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে, এখনো নিখোঁজ ১৮ জনের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ভূমিকম্প হওয়ার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কয়েকশ পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই প্রায় ৫০টি পরাঘাত অনুভূত হয়। এর কোনো কোনোটি রাজধানী তাইপেতেও অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে ও একটি জাতীয় উদ্যানে কয়েকশ মানুষ আটকা পড়েছিল। তাদের অধিকাংশকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তাইওয়ানের দমকল পরিষেবা জানিয়েছে, এখনও আরও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন বিদেশি।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী এরা ভারত, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তারা কোথায় রয়েছেন তা জানা যায়নি।
একটি হাইকিং ট্রেইলে থাকা আরও ছয়জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ৪৫ জন উদ্ধারকর্মীর একটি দল তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বলে দমকল পরিষেবা জানিয়েছে।
হুয়ালিয়েন কাউন্টির তারোকো গিরিসঙ্কট জাতীয় উদ্যানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে প্রায় ৪০০ জনের মতো পর্যটক আটকা পড়েছিলেন, তারা নিরাপদ আছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন। হেলিকপ্টারে করে সেখানে রসদ পাঠানো হচ্ছে ও আতহদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এই হোটেলটির প্রায় ৫০ জন কর্মীর একটি দল জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি মহাসড়কে আটকা পড়েছিলেন। পাথর ধসের কারণে ওই মহাসড়কটি বন্ধ হয়ে যায় ও তাদের বহনকারী বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন তারা প্রায় নিরাপদে আছেন বলে দমকল পরিষেবা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এখন থেকে হোটেলটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক ডেভিড চেনকে (৬৩) উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, ভূমিকম্পের সময় ভেবেছিলেন তারা আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না, সবাই খুব ভয় পেয়েছিলেন।
“আমরা যখন এলাকাটি ছেড়ে আসছিলাম, তখনও পাথর পড়ছিল। উদ্ধারকর্মীদের দল পাথরের মধ্য দিয়ে পথ দেখিয়ে আমাদের বের করে নিয়ে এসেছে,” বলেছেন তিনি।
তাইওয়ান দ্বীপের অবস্থান দু’টি ভূতাত্ত্বিক প্লেটের সন্ধিস্থলের কাছে, তাই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ।
২০১৬ সালে দ্বীপটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল দুই হাজারেরও বেশি মানুষের।
Leave a Reply