নিজস্ব প্রতিবেদক
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় দুই হাজার বছর আগের পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশুখ্রিস্টকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবসে রোববার তিনি আবারও পুনরুত্থিত হন বা জেগে ওঠেন। যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানের এই রোববারকেই ইস্টার সানডে বা পুনরুত্থানের রোববার বলা হয়। ইস্টার সানডে বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মবলম্বীদের কাছে একটি আনন্দের বিষয়।
তবে, বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে নির্দিষ্ট কোনো তারিখে পালিত হয় না। ২১ মার্চের পর যখন আকাশে প্রথম পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়, তার পরের রবিবার পালন করা হয় ইস্টার সানডে। পাপের বিরুদ্ধে জয় হিসেবে যিশুর পুনরুত্থান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও এ দিনটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করবে। প্রতিটি চার্চ অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে। আজ সকালে দেশের সব চার্চেই বিশেষ খ্রিস্টযোগ ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থনা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন খ্রিস্টীয় সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই বিশেষ দিনটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খ্রিস্টভক্তরা চার্চে গিয়ে উপস্থিত হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তারা পরস্পরের সঙ্গে ইস্টার সানডের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
দিনটি উপলক্ষে আজ ভোরে মিরপুর-১০ নম্বরে ঢাকা আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ভোরে মেজর গ্যানেন্দ্র বাড়ৈ প্রারম্ভিক প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
এরপর প্রার্থনা সংগীত, বাইবেল পাঠ, আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
এছাড়া রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মিশনসহ সব গির্জা ও চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা হবে।
Leave a Reply