বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একজন শিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা। ‘চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ ২০১০’ প্রতিােযগিতার মধ্যদিয়ে পেশাগতভাবে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বগুড়ার মেয়ে লুইপার। দেখতে দেখতে পেশাগতভাবে পথচলার এক দশকেরও বেশি অর্থাৎ ১৪ বছর সময় পার করছেন। এই দীর্ঘ ১৪ বছরের পথচলার এই সময়ে এসে লুইপা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের একজন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী। শ্রোতা দর্শকের কাছে হয়ে উঠেছেন ভীষণ প্রিয়। নিজের বেশ কয়েকটি মৌলিক গান দিয়ে তিনি যেমন শ্রোতা দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের ও ভারতের সোনালী দিনের গান গেয়েও তিনি শ্রোতা দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। লুইপা এই সময়ে টিভি শো ও স্টেজ শো’তেও অন্যান্য শিল্পীদের চেয়েও বেশ ভালো সময় পার করছেন। লুইপার প্রথম একক গানের অ্যালবাম প্রকাশ পায় ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর সিডি চয়েজ থেকে। অ্যালবামের নাম ছিলো ‘ছায়াবাজি’। অ্যালবামের সবগুলো গানের কথা লিখেছিলেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর সঙ্গীত করেছিলেন কিশোর দাস। রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত রেঁস্তোরায় সেদিন এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিলো। প্রথম অ্যালবামের বেশ কয়েখকিটি গান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ঘুরে ফিরে’, ‘ছায়াবাজি’,‘যেখানে আমি থাকি’ গানগুলো বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এরপর অবশ্য লুইপা আর কোনো গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেননি। এরপর তিনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একটি করেই গানে প্রকাশে করেছেন। তারমধ্যে কাভার সং হিসেবে কিছু গান প্রকাশ করেছেন। আবার মৌলিক গানও প্রকাশ করেছেন। সবগুলো গানই শ্রোতা দর্শকের ভালোবাসায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লুইপার পরম সৌভাগ্য হয়েছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার সুরে গান গাইবার। তার সুরে গান গাইতে পারাও যেন তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারকে ভীষণভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এমন সৌভাগ্য প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীদের ক্ষেত্রে খুবই কম হয়েছে। সেদিক দিয়েও লুইপা ভাগ্যবান। সঙ্গীতাঙ্গনে আজ তার যে অবস্থান এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লুইপা বলেন,মহান আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আমার বাবা মায়ের শতভাগ সাপোর্টের কারণে সঙ্গীতের দুনিয়ায় নিদ্বিধায় আমি পথ চলতে পেরেছি। সেইসাথে যেম মানুষটি আমার সব ক্রাইসিসে, সুখে দু:খে পাশে থেকেছেন, আমাকে সাহস দিয়েছেন, আমাকে ভাবিয়েছেন, আমাকে প্রকৃত একজন শিল্পী হতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, শক্ত হাতে আমার পাশে থেকেছেন তিনি আমার স্বামী-আমার আদরের পায়রার বাবা আলমগীর। অবশ্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাম ও তাপস ভাই-মুন্নী ভাবীর প্রতি। এই শ্রদ্ধার মানুষগুলো আমাকে নিয়ে ভেবেছেন, আমার পাশে থেকেছেন, আমার মাথার উপর আশীর্বাদ হয়ে ছায়া হয়ে থেকেছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি আমার গানের ওস্তাদ এস এম বেলাল হোসেন স্যার, রেজয়ানুল ইসলাম স্যার ও প্রিয়াংকা গোপ ম্যাডামের প্রতি। পরম কৃতজ্ঞতা আমার গানের ভক্ত সকল দর্শক শ্রোতার প্রতি। ধন্যবাদ সংবাদ মাধ্যমের প্রতি, সবসময় আমার পাশে থাকার জন্য। লুইপা রায়হান রাফির ‘পরাণ’ সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন। লুইপার মৌলিক গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখােগ্য ‘জেন্টলম্যান’,‘রঙ্গিলা হাওয়া’।
Leave a Reply