মানবতার কন্ঠ ডেস্ক:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি ভাষণ দেন। তবে তিনি মঞ্চে ওঠার পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা বের হয়ে গেছেন।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয় কারাগারে থাকা উচিত।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরাও নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন।
সাধারণ পরিষধের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে। মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ এবং সম্প্রতি লেবাননে একের পর এক ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিবিদরা অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহর কড়া সমালোচনা করেছেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালাবে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে লেবাননে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, সেটিও অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply