নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশের বিভিন্ন কমান্ডোদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এটা উদ্বেগজনক নয়। কিন্তু এটা উসকানি কি না জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনারা (ভারত) কি নববধূকে (শেখ হাসিনা) সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। তাহলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভাবে কথা বলছে কেন?
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। আমি যে গ্রেপ্তার হতে পারি, গুম হতে পারি এই শঙ্কা আর নাই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা চাচ্ছেন না? বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক এটা কী ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না? নাকি এসব মেনে নিতে পারছে না?
শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশে নাই এই কষ্ট কী ভারতের নীতি নির্ধারকরা মেনে নিতে পারছে না? আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা।
ভারতের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি যদি আপনাদের যোগাযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালোভাবে মেনে নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ যেমন দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করতে পারে তেমনি বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং তেজ দেখাতে জানে। বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথার মধ্যে কিন্তু রাখতে হবে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-নার্সেস বিষয়ক সম্পাদক ও ন্যাব সভাপতি জাহানারা বেগম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. মাহবুবুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইকবালুর রহমান রোকন, ন্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মিয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহসভাপতি ডা. আউয়ালসহ অনেকে।
Leave a Reply