আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের পূর্ব ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশে শহরে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্ত্রী এবং তার দুই কন্যা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তর লন্ডনের একটি কবরস্থানের কাছে ২৬ বছর বয়সী কাইল ক্লিফোর্ড নামের ওই সন্দেহভাজনকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। তাকে ধরতে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার জন হান্টের স্ত্রী ও দুই কন্যাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের পূর্ব ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশি শহরের নিজ বাড়িতেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তাদেরকে ক্রসবো (ধনুক জাতীয় অস্ত্র) দিয়ে হত্যা করা হয়।
হামলার ঘটনায় জন হান্টের স্ত্রী ক্যারল হান্ট (৬১) এবং তার দুই কন্যা হান্না হান্ট (২৮) ও লুইস হান্ট (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
জন হান্টের পরিবারকে ভালোভাবে চেনেন এমন এক নারী ওই পরিবার সম্পর্কে বলেন, তারা খুবই আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং কোমল মনের মানুষ। তারা সব সময় অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।
পরে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তর লন্ডনের এক কবরস্থানের কাছে থেকে কাইল ক্লিফোর্ড নামের ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। সে কিভাবে আহত হয়েছে তা জানা যায়নি, তবে তাকে লক্ষ্য করে কোন গুলি করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে আটককৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তি দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে তবে সন্দেহভাজন আর কাউকে খোঁজা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসতেই বিবিসিসহ যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিবিসিতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন হান্ট। সংবাদমাধ্যম এবং রেসিং সমর্থকদের মধ্যেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।
Leave a Reply