1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
  4. manabatarkontho@gmail.com : Afroja Talukder : Afroja Talukder
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কৃষি পণ্যের দাম অব্যাহত কমতে থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা !  রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব লৌহজংয়ের কুখ্যাত মাদকসম্রাট বিএনপি নেতা শহিদুল হেরোইনসহ গ্রেফতার  ইন্টারপোলে আবেদন: হাসিনা, কাদের, বেনজীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি ঢাকা- মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ছাদবিহীন পাঁচ কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস চালালেন চালক  ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের আগে বাংলাদেশ কী করেছিল, সেদিকে নজর দিন: ভারত লৌহজংয়ে পুলিশের মদদে মাদকের রমরমা বাণিজ্য রাজধানীর পল্লবীতে ইসরায়েলের আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার

কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। তারা বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপরীতে এবার কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

বুধবার (১০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবি আদালতের কাছে নয়, বরং সংসদের কাছে উল্লেখ করে নেতাকর্মীরা বলেন, দেশের মানুষকে জিম্মি করে এই রায় নিয়েছে কোটাবিরোধীরা। এখন আমরাও বসে থাকবো না। এতোদিন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে দেখে কঠোর আন্দোলন করিনি। কিন্তু এবার বৈঠক করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। কোটা আবার ফিরিয়ে আনতে শিগগিরই সংসদ ভবন অভিমুখী মিছিল বের করা হবে। প্রয়োজনের সংসদে আমাদের বিষয়টি উত্থাপন করে দ্রুত কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।

কোটাবিরোধীরা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দাবি করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, ৭১ সালে যে স্বাধীনতা হয়েছে তোমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছ। এখানে শরীক হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা। আমরা এই যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরাও রাস্তায় থাকবো।

আপিল বিভাগের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় তারা আরও বলেন, আমরা কোটা পুর্নবহাল চাই। কোটা আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। এটি চলবে। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।

আদালতের রায়ের পর আন্দোলন করার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই; প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্যের ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, আমাদের দাবি হাইকোর্টের কাছে নয়, সংসদের কাছে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না, আন্দোলন চালিয়ে যাব।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

সব মিলিয়ে তখন নারীদের জন্য বরাদ্দ ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরীদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ এবং জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয় ওই পরিপত্রে।

পরবর্তীতে পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত। কিন্তু ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।

পরবর্তীতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী রোববার ও সোমবার টানা দুদিন বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ব্লকেড কর্মসূচিতে কয়েকঘণ্টা সড়ক অবরোধ করলেও বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা।

একইদিন কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি হয়। শুনানির পর হাইকোর্টের দেওয়া রাইয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। চার সপ্তাহ পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।

Discover more at Max-Zero

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews

Powered by Max-Zero