নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রেজবী বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান নেয়াটা ‘জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীন, সুতরাং যে ব্যাক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেনো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন নিজ প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে। প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আজকাল সংবাদপত্রে দৃষ্টি দিলেই বেনজীর, মতিউর, আসাদুজ্জামান আরও কত নাম আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সমস্ত দুর্নীতির মহানায়করা সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বড় বড় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকল কিভাবে। এর উত্তর কি প্রধানমন্ত্রী দিতে পারবেন। তাহলে কি কোনো ভাগ-বাটোয়ারার কারণে সমস্যা হওয়ায় এই সমস্ত নিষ্ঠুর পুলিশ কর্মকর্তাদের সব গোপন বিষয় ফাঁস করে দেয়া হচ্ছে। আসলে গায়ে দুর্নীতির কালিমাখা আওয়ামী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটা ‘জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়’।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া আজ বুধবার খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জেলা ভিত্তিক সমাবেশ চলাকালে নাটোরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, দুদকের কোন শক্ত মেরুদন্ড নেই। কিন্তু সরকারের নির্দেশমত বিরোধী দলকে নির্যাতন করা আওয়ামী-দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ। তা না হলে বিগত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লুটপাটের সরকার যে অনিয়ম, অপচয় এবং মহাদুর্নীতিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্পেটের তলায় ঢেকে রাখে, সেই কমিশনারদের দ্বারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ এবং সরকারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতাদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি। রেলওয়ে করিডোর স্থাপনের চুক্তি তারাই প্রতিফলন। বাংলাদেশের মানুষ কখনই দিল্লীর অধীনতা বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না।
Leave a Reply