আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের লোকসভার স্পিকার পদে বসেই পুরনো ইস্যু তুলে বিতর্ক উসকে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। এদিন স্পিকারের আসনে বসেই জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করে ২ মিনিট নীরবতা পালনের নির্দেশ দেন বিড়লা। যার তীব্র প্রতিবাদ আসে বিরোধী বেঞ্চ থেকে। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার। অষ্টাদশ লোকসভায় সরকার-বিরোধী সংঘাতে প্রথমবার মুলতবি হল অধিবেশন।
এদিন ওম বিড়লা স্পিকার নির্বাচিত হন ধ্বনি ভোটে। সেটা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও শেষপর্যন্ত বিরোধী শিবির তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের জাগ্রত স্বর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এবার যেন সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়। ঠিক তারপরই স্পিকারের চেয়ার থেকে কংগ্রেস জমানার জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গ তুলে আনেন ওম বিড়লা।
স্পিকার বলেন, “এই সংসদ ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার তীব্র বিরোধিতা করছে। যারা সেসময় এর বিরোধিতা করেছে, তাঁদের সাহসিকতাকে সম্মান জানাই। সেসময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসব দুঃসাহসী, বীর নাগরিক যারা স্বৈরাচারী কংগ্রেস সরকারের অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এই সংসদে দু মিনিটের নীরবতা পালন করা হোক।” স্পিকার এই ঘোষণা করতেই স্লোগান ওঠা শুরু করে বিরোধী বেঞ্চে। বিরোধীদের বক্তব্য, অহেতুক বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলতেই পুরনো ইস্যু তুলে আনছেন স্পিকার। শেষমেশ বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে হয়।
পরে অধিবেশন কক্ষের বাইরে গিয়ে এনডিএর সাংসদরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচারী মানসিকতা, কংগ্রেসের বাস্তবতা।’, ‘কিছু জিনিস কখনও বদলায় না’। ওই বিক্ষোভে প্রহ্লাদ যোশী, কিরেন রিজিজুর মতো মন্ত্রীরাও ছিলেন।
স্পিকারের এই বিবৃতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও মোদি সরকার তার আক্রমণাত্মক ভূমিকার বদল ঘটাবে না। সংসদ ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিরোধীদের পক্ষে তেমন কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা বৃথা।
Leave a Reply