1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

র‌্যাবের অধিনায়ক সম্মেলন: শুদ্ধাচার রক্ষায় কঠোর হুঁশিয়ারি, ৫ নির্দেশনা নতুন ডিজির

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দায়িত্ব নিয়েই শুদ্ধাচার নীতির ব্যাপারে কঠোরতার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। সেই সাথে উগ্র জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূল, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার ও কিশোর অপরাধকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৫ দফা দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৩ জুন) র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে র‌্যাবের অধিনায়ক সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিটের উপস্থিত কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, র‍্যাবের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সেটা আমরা আরও বৃদ্ধি করতে চাই। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্যকে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চেইন অব কমান্ড অনুসরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ হতে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো র‌্যাব সদস্য যদি আইন বহির্ভূত কাজ করেন বা অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব জঙ্গি ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধী ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠা হতে র‌্যাব অদ্যাবধি প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজারের অধিক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার, প্রায় ৬ হাজার ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার অধিক মূল্যমানের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া এই বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে অসংখ্য তালিকাভুক্ত অপরাধী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী যারা দীর্ঘকাল আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিল তারা ধরা পড়েছে। সুন্দরবন আজ দস্যুমুক্ত হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাবের সাফল্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য। চরমপন্থি ও জলদস্যু আত্মসমর্পণে এ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিগত দিনগুলোতে উন্নত পেশাদারিত্বের মাধ্যমে র‌্যাব ফোর্সেস তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছে। ৫ দফা কাজকে গুরুত্ব দিয়ে র‌্যাবের সব অধিনায়ককে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, আজকে সিও (অধিনায়ক) পর্যায়ে কনফারেন্স ছিল। আমি তাদের পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। এলিট ফোর্স হিসেবে র‍্যাবকে উদ্ভাবনী হতে হবে। মানুষকে সেবা দেওয়া, অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধারসহ অভিযানিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার নির্দেশনা দিয়েছি। এজন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে র‍্যাবকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কর্মপরিধি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, র‌্যাব মহাপরিচালক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। র‌্যাবের পবিত্র পোশাকের সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থেকে SOP অনুযায়ী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আহ্বান করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ হতে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে নবাগত র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। র‌্যাবের কোনো সদস্য অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজে জড়াবে না। কোনো সদস্য যদি কারো মানবাধিকার হরণ করতে চায় তাহলে তাকে আইনের আওতা আনা ও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসৃত মৌলিক মানবাধিকার সমূহ সমুন্নত রাখার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। এসময় তিনি পুরোপুরি সচেতন থেকে মানবাধিকার, জেন্ডার সংবেদনশীল বিষয়কে সমুন্নত রেখে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা এবং অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণসহ সব অভিযানিক কার্যক্রমে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার ওপর র‌্যাব মহাপরিচালক গুরুত্বারোপ করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, আর্থিক অনিয়ম, অনলাইন প্রতারণা, সাইবার ক্রাইমের মতো বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। র‌্যাব এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই অপরাধ সমূহের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আইনানুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিযান জোরদার করতে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি বা আইন বহির্ভূত কোনো কাজে না জড়ান বা অপেশাদার কাজ না করেন সেব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসন ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে র‌্যাবের দৃঢ় অবস্থান পুনঃব্যক্ত করেন তিনি।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনটা কাজকে গুরুত্ব দেবো। মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, উগ্রবাদ; সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল।

তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে দরকার সামাজিক আন্দোলন। গণমাধ্যম আশা করবো পাশে থাকবে। আমি গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব চাই। গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই আগে জেনে যায়।

কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল। সাসটেইনেবল সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্যাং কালচারে জড়ানো কিশোরদের সংশোধন করে মূলধারায় কীভাবে আনা যায় সে চেষ্টা করবে র‌্যাব। আর অপরাধ করে ও সহায়তা করে তারা দুপক্ষই সমান অপরাধী। অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews