মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলাটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার মতো মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাপের আতঙ্ক দূর করতে জনসাধারণকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কাজ করছেন লৌহজংয়র ‘স্মার্ট ব্রিগেড’-এর সদস্যরা।
সাপ দংশন করলে কি করণীয় এবং তা থেকে কিভাবে এড়ানো যায় এই নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করা সহ লিফলেট বিতরণ করছেন ‘স্মার্ট ব্রিগেড’-এর সদস্যরা।শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেনের বিশেষ উদ্যোগে ও সরাসরি মাঠ পর্যায়ে অংশগ্রহণ ও তত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু করেন এই সদস্যরা।
লৌহজং উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মাইকিং সহ লিফলেট বিতরন করে জনগনকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
স্মার্ট ব্রিগেড লৌহজংয়ের সদস্যরা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সাপ বিশেষ করে রাসেলস ভাইপার সম্পর্কে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
টিফলেটের মাধ্যমে বলা হয়, সাপ দংশন করলে ভয় পাওয়া যাবে না। তবে বেশির ভাগ সাপই বিষধর নয়।
দংশিত অঙ্গ বিশ্রামে রাখতে হবে। পায়ে দংশন করলে বসে পড়তে হবে। হাঁটাহাঁটি করা যাবে না। হাতে দংশন করলে হাত নাড়াচাড়া করা যাবে না,বরং হাড় ভাঙলে যেভাবে কাঠ-ব্যান্ডেজ দিয়ে প্লাস্টার করা হয়, ওইভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। দংশিত অঙ্গে শক্ত করে গিট দেওয়া যাবে না।
আরো বলা হয়, যেকোন সাপ দংশন করলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল বা অ্যাম্বুল্যান্সযোগে দ্রুততম সময়ে পৌঁছার চেষ্টা করতে হবে। দংশিত স্থান কাটা যাবে না। সুই ফোটানো যাবে না বা কোনো ধরনের প্রলেপ লাগানো যাবে না। ওঝা বা বৈদ্য দিয়ে চিকিৎসা করে কিংবা ঝাড়ফুঁক করে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।
Leave a Reply