প্রতিনিধি:
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে একটি পণ্যবাহী ট্রলারে আবারও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে ট্রলারটির বিভিন্ন জায়গায় ৭টি গুলি লেগেছে বলে দাবি করেছেন ট্রলারের মালিক।
নাফ নদীর বদরমোকাম মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকায় শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও ওই ট্রলারের মালিক আবদুর রশিদ।
তিনি বলেন, শনিবার বেলা ১১টায় টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খাল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী ভর্তি করে এসবি রাফিয়া চারজন মাঝিসহ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রলারটি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের বদরমোকাম এলাকায় পৌঁছালে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ট্রলারের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। তখন ট্রলারে থাকা অপর মাঝিমাল্লা শুয়ে পড়েন। এ সময় এসবি রাফিয়াকে লক্ষ্য করে ২০-৩০টি গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে ট্রলারটির মাঝি (চালক) মোহাম্মদ বেলাল সেটি ঘুরিয়ে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নোঙর করেন।’
ওই ট্রলারের এক মাঝি বলেন, ৫ জুন রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের স্থগিত কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার সময় একই ট্রলার লক্ষ্য করে শতাধিক গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আজ পুনরায় ওই ট্রলারে পণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের উপকূল থেকে ট্রলারে ২০ থেকে ৩০টি গুলি করা হয়। পরে ট্রলারটি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে এনে নোঙর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ১২ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। এসব মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর একমাত্র জোগান এই নৌরুট দিয়ে টেকনাফ থেকে আসে। কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে এই নৌরুটে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। টেকনাফ থেকে আনা যাচ্ছে না ভিজিডি বা ভিজিডিএফের চালও। এর মধ্যে নৌযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ নৌরুটে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক করতে ওই এলাকায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বিজিবির টহল জোরদার করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুলির বিষয়টি শুনেছি। সার্ভিস ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
টেকনাফ উপজেলার ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় দুই দিন ধরে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে সার্ভিস ট্রলার লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার জন্য ট্রলারমালিকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply