নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী নেপালের কাঠমান্ডুকে ব্যবহার করছে। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনও কাঠমান্ডুর মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে চলে গেছে। এমন আরও অন্য আসামিদের বিষয়েও তথ্য পাচ্ছি।
আজ শনিবার নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিবি প্রধান।
ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ডিবির তিনজন ও একজন ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সদস্যসহ মোট চারজনের একটি দল নেপাল যাচ্ছেন।
সাংবাদিকদের হারুন অর রশিদ বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের সহকারী সিয়াম নেপালে আটক হয়েছে বলে শুনেছি। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর অন্যান্য আসামিরাও নেপালে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সবদিক বিবেচনা করে নেপাল যাচ্ছি। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোও ক্রস চেক করা হবে।’
হারুন আরও বলেন, ইন্টারপোলকে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। কাঠমান্ডু পুলিশের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান চলছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল সম্প্রতি কলকাতায় যায়। গত ২৮ মে বিকেলে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি মাংসের টুকরা উদ্ধার করে ডিবি ও কলকাতা সিআইডির যৌথ দল।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি আজীমের দেহাবশেষ। ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে পরে জানা যাবে এটি তাঁর দেহাংশ কিনা।’
ডিবি প্রধান আরও জানান, হত্যায় আরেক অভিযুক্ত সিয়াম এখন কাঠমান্ডুতে আছেন। তাকে ফেরাতে নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
ভবিষ্যতে কোনো আসামি বাংলাদেশে অপরাধ করে নেপালে যেন ঠাঁই না পায় সে ব্যাপারেও দেশটির পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান তিনি।
আজীম হত্যার মোটিভ এখনও জানা যায়নি বলেও জানান হারুন। তিনি বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তারের পর মোটিভ সম্বন্ধে পরিষ্কার হওয়া যাবে।
Leave a Reply