ক্রীড়া ডেস্ক:
সিরিজ হারের পর ধবলধোলাইয়ের মুখে যেন বলে-ব্যাটে ছন্দ খুঁজে পেলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে এলোমেলো বোলিংয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খোয়ায় বাংলাদেশ। শেষে এসে কম রানে আটকে রাখার পর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় জয়ের কীর্তি গড়ে।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে শনিবার (২৫ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে মাত্র ১০৪ রানে থামে স্বাগতিক শিবির। তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। কর্তৃত্ব দেখিয়ে জিতলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের অস্বস্তি থেকে যাবে ঠিকই। তবে ধবলধোলাই থেকে বেঁচে কিছুটা মান রাখল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
জাকের আলী অনিকের পরিবর্তে লিটন দাশ ফিরলেও তাকে ওপেনিংয়ে পাঠায়নি ম্যানেজমেন্ট। তানজীদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। দুজনে শুরু থেকে খেলতে থাকেন আক্রমণাত্মক। পাওয়ার প্লে’তে আসে ৪৮ রান। যা চলমান সিরিজে সর্বোচ্চ।
নিজের দ্বিতীয় সিরিজে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তানজীদ। ৩৯ বলে দেখা পান ফিফটির।। তার ৪২ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে।
অন্য প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে গেছেন সৌম্য। তিনি ২৮ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল। দুজনের জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে চতুর্থ-বারের মতো শতরান করে বাংলাদেশ।
উইকেট বিবেচনায় টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সবচেয়ে বড় জয় এসেছে ৯ উইকেটে। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ ও ১৫.৫ ওভারে ৯ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে। এবার সেটিকে টপকে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ হয় যুক্তরাষ্ট্রের। দুই ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গির-আন্দ্রেইস গিউজের জুটিতে শুরুতেই ফুলে ফেঁপে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরবোর্ড। ৫ ওভার না যেতেই দলটির রান চল্লিশ পেরোয়। সাকিব আল হাসানকে মারতে গিউজের আউটে ভাঙে জুটি। এরপর নাটাই চলে আসে
Leave a Reply