আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের নিরীহ সাধারন মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিনকে দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের একমাত্র পথ, স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে পাশ হয় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তুাব। সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশের মধ্যে এ প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯টি দেশ। এ ছাড়া ভোট প্রদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশের মধ্যে আছে বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য দেশ হলো- আর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ ও পাপুয়া নিউগিনি। আর হাজার হাজার নিরীহ মানুষের হত্যাতেও টনক নড়ছে না ইউরোপীয় ২৫টি দেশের। তারাও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তুাবে নিজেদের ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।
ফিলিস্তিনকে কার্যত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ারই পদক্ষেপ এটি। গত মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রচেষ্টা ভেস্তে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে। সাধারণ পরিষদে ভোটের এই ফলে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও ভূ-খণ্ডটি এই বিশ্ব সংস্থায় যোগ দেওয়ার যোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাদের এ প্রত্যাশার সঙ্গে দিন দিন বিভিন্ন রাষ্ট্রের সমর্থন বাড়ছে।
এরপরও ৯টি দেশ ফিলিস্তিনের চাওয়ার প্রতি মূল্য দেয়নি। টনক নড়ছে না ইউরোপীয় ২৫টি দেশের। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশের মধ্যে আছে বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেওয়া অন্যান্য দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ ও পাপুয়া নিউগিনি।
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাবে ভোট প্রদানে বিরত থাকা দেশগুলো বেশির ভাগই ইউরোপের। এর মধ্যে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া এবং ইউক্রেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভোটদানে বিরত ছিল উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাও।
Leave a Reply