নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। সোমবার (৬ মে) ধানমন্ডির টিআইবির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবির প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২২ শতাংশ ঋণগ্রস্ত। আর হলফনামায় গৃহিনী হিসেবে পরিচয় দেয়া নারী প্রার্থীদের ১৯ শতাংশই ব্যবসায়ী। এছাড়া নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে তিনগুণ।
নির্বাচনী হলফনামায় প্রায় ৯৩ ভাগ প্রার্থী কোটি টাকার নিচে আয় দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৭ শতাংশই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনীতির সাথে ব্যবসায়ীদের মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। যাদের অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়।
উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তা অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’। যদিও বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট।
Leave a Reply