1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
  4. manabatarkontho@gmail.com : Afroja Talukder : Afroja Talukder
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন

মগবাজারে হোটেলে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে
নাইম, স্বপ্না ও মনির। ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক মানবতার কণ্ঠ

রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলের রুমে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম মৃত মনির হোসেনের আত্মীয়। তিনি কেরানীগঞ্জে মনিরের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। আজ মঙ্গলবার রমনা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক কাজী আরিফ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরেই রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত রোববার সকালে মগবাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন সুইট স্লিপ হোটেলের একটি কক্ষে মারা যান লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা প্রবাসী মনির হোসেন (৪৮), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বপ্না (৩৮) ও তাদের ছেলে নাইম হোসেন (১৮)। নাইমের চিকিৎসার জন্য তারা গত শনিবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। শনিবার চিকিৎসকের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট না পাওয়ায় তারা মগবাজারের সুইট স্লিপ হোটেলে ওঠেন এবং পরদিন সকালেই তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় মনিরের ভাই নুরুল আমিন মানিক সোমবার রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মনির, তার স্ত্রী ও ছেলেকে খাবারে বিষ বা বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত আসামীরা। পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁ থেকে আনা খাবার রাতে খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।

হোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের ওই চাচা চেক-ইনের সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং বিকেল ৫টার দিকে তিনিই খাবার এনে দিয়েছিলেন। রাত ১০টার দিকে তাদের রুমে হোটেলের এক কর্মী গেলে সবাইকে সুস্থ অবস্থাতেই দেখতে পান।’

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের গতকাল বলেন, ‘তাদের ওই আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হোটেল ও রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে, কে কী করছিল, খাবার নেওয়ার সময় কী করছিল, আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছি। অনেক বিষয় আমাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, আমরা বিষয়গুলো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি জানান, মনির ঈদুল আজহার আগে দেশে এসেছিলেন। কেরানীগঞ্জে তার দুটি বাড়ি এবং ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী কিছু বাস রয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কিনা, তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।’

 

 

আরো পড়ুন : হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ: প্রশ্ন অনেক, উত্তর খুঁজছে পুলিশ

Discover more at Max-Zero

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews

Powered by Max-Zero