এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু জাতিসংঘ সনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক নীতিমালাকেই উপেক্ষা করে না; বরং এটি একটি সম্মানিত সভ্যতাকে অবমাননা এবং বিশ্বের লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরান এবং মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর এবং দম্ভভরা ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র চিন্তাধারাকে তুলে ধরেছে। যা তাদের ‘সংলাপ ও সহযোগিতা’ প্রচেষ্টাকে অবিশ্বস্ত করে তোলে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা এ ধরনের উসকানিমূলক ভাষা বন্ধ করে এবং নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রবণতা ত্যাগ করে। সেই সঙ্গে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোয় জবাবদিহি করার দাবি জানিয়েছে তেহরান।
গত ২২ জুন ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যা জাতিসংঘ সনদ ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে ইরান। ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব দৃষ্টিভঙ্গি শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যবোধকে অপমান করে না; বরং এই আচরণ পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply