একাই ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের! ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে যিনি ছিলেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া ‘এআই১৭১’-এর পাইলট। কিন্তু উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল, সেসব এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন দু’জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সবাইকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাটের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরেই মেঘানিনগরের কাছে বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটি।
ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) সূত্রের খবর, বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সবরওয়াল। সঙ্গে ছিলেন সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহ-পাইলটের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল ১,১০০ ঘণ্টা।
অর্থাৎ দুই পাইলটের সম্মিলিত উড্ডয়ন-অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ১০ হাজার ঘণ্টার কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ‘মে ডে কল’ দেন পাইলট। তারপর ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নিচে নামতে শুরু করে বিমানটি।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। বোয়িং সংস্থার ড্রিমলাইনার বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। গন্তব্য ছিল ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, রানওয়ে ছাড়ার পরপরই দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। পরমুহূর্তেই লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply