সম্প্রতি সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্য এবং তাদের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বীকৃত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে
এই ঘোষণার পর প্রথমে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়, বিশেষ করে গণমাধ্যমে এ ধরনের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে যে, জাতীয় চার নেতা কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন না। বিষয়টি পরিষ্কার করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে জানান, পুরো মুক্তিযুদ্ধ মুজিবনগর সরকারের অধীনেই পরিচালিত হয়েছে, এবং এই সরকারের সদস্য ও তাদের অধীনে কাজ করা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত থাকবেন।
তবে নতুন করে এই অধ্যাদেশ জারি করার কারণ হিসেবে জানানো হয়, যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধে সহযোগী হিসেবে বিভিন্নভাবে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে পরিষ্কার বিভাজন আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা যুদ্ধের সময় বিদেশে কূটনৈতিক মিশনে কাজ করেছেন, তথ্য সংগ্রহ করেছেন, অর্থ সংগ্রহ
তবে এতে তাদের সম্মান কিংবা সুযোগ-সুবিধা কোনোটিতেই ঘাটতি হবে না। তারা আগের মতোই সব সুবিধা পাবেন, কেবলমাত্র সরাসরি যুদ্ধ না করার কারণে একটি পৃথক শ্রেণিতে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে মূলত ১৯৭২ সালের নীতিমালার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিগত সরকার, বিশেষ করে ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনে, যা বর্তমানে সংশোধন করে আগের কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, অবদান এবং অবদানকারীদের স্বীকৃতি আরও স্পষ্ট ও যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply