অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিস। পিয়ন থেকে শুরু করে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত যে যেভাবে পারছেন নিজের পকেট ভারি করছেন। মিটার না দেখে ভুতুড়ে বিল করায় অফিসের কাছেই গ্রাহকদের পাওনা এখন কয়েক কোটি টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে লাখ লাখ মিটার বাণিজ্য। সম্প্রতি দুদকের অভিযানে মিলছে দুর্নীতির সত্যতা। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা চেয়েছেন এর প্রতিকার। সদ্য যোগদানের কথা বলে নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের অধীনে ৫০ হাজারেরও বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই পোষ্ট পেইড গ্রাহক। দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের মিটার রিডিং ও বিলে আকাশ-পাতাল গরমিল, ঘুষ বাণিজ্য, মিটার বাণিজ্য এবং গ্রাহকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সকল অনিয়ম যেন এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। মিটার না দেখেই ইচ্ছে মত বিল করে যাচ্ছে অফিসের লোকজন। এতে করে ১ হাজার ইউনিট থেকে ১০ হাজার ইউনিট পর্যন্ত গরমিল দেখা গেছে বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের। এ রকম গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক হাজার। ফলে বিদ্যুৎ অফিসের কাছে গ্রাহকদের পাওনা এখন কয়েক কোটি টাকা। প্রতিবাদ করলে গ্রাহকদের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার, দেওয়া হয় মামলার হুমকি। এ রকম হয়রানিতে অসহায় গ্রাহকরা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ অফিস থেকে একহাজার থেকে ক্রয় করেন খোদ অফিসের কর্মচারীরা। পরে তা গ্রাহকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন তারা। শুধু তাই নয়, সেচ পাম্প মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে তাদের বিল কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। এতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অফিসের একটি চক্র।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply