লিথুয়ানিয়া সফরে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো জার্মানি অন্য দেশে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করল। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ লিথুয়ানিয়া সফরে গিয়ে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত রক্ষায় বার্লিনের সাঁজোয়া ব্রিগেডের উদ্বোধন করেন।
গত ২২ মে (বৃহস্পতিবার) চ্যান্সেলর মার্জের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াস। এই সফরের মধ্য দিয়ে লিথুয়ানিয়ায় জার্মান সাঁজোয়া ব্রিগেডের আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন সম্পন্ন হয়।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষাপটে মার্জ বলেন, বাল্টিক অঞ্চলের মিত্রদের নিরাপত্তা মানেই আমাদের নিরাপত্তা। ইউরোপের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লিথুয়ানিয়ায় জার্মান সেনা মোতায়েন
লিথুয়ানিয়া, যেটি রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ এবং বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে, সেখানে এই ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে জার্মানি প্রথমবারের মতো লিথুয়ানিয়ায় সেনা মোতায়েন শুরু করে এবং দীর্ঘ এক বছরের প্রস্তুতির পর তা পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেডে রূপান্তরিত হয়েছে।
নতুন এই ৪৫তম সাঁজোয়া ব্রিগেডে প্রায় ৫,০০০ জন সদস্য থাকবে, যার মধ্যে ৪,৮০০ জন জার্মান সৈনিক এবং ২০০ জন বেসামরিক কর্মী রয়েছেন। ২০২৭ সালের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভিলনিয়াসের কেন্দ্রীয় ক্যাথেড্রাল স্কোয়ারের আকাশে বহু সামরিক হেলিকপ্টার প্রদর্শিত হয়, যা এই মোতায়েনের তাৎপর্য তুলে ধরে।
প্রতিরক্ষা কৌশল ও বিনিয়োগ
জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছি।
তিনি জানান, রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণের পর জার্মানি ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির ২% প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১১৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, লিথুয়ানিয়া ঘোষণা দিয়েছে ২০২৬ সাল থেকে তারা তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৩% থেকে বাড়িয়ে ৫–৬% করবে।
লিথুয়ানিয়ার প্রতিক্রিয়া
লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো জার্মান সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদে নিজ দেশের বাইরে অবস্থান নিতে যাচ্ছে
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply