নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না। অন্তবর্তিকালীন সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। এই সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
নিত্য পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামি চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে তাহলে মানুষ হতাশ হবে। খাদ্যপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শাক সবজি নিজেরা কিনে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে। এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। দূর্গম চরে কৃষককে শস্য উৎপাদনেও সহযোগিতা।
যখন গণতন্ত্র ছিলো না তখন আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার লাল চক্ষু উপেক্ষা করে বিশেষ করে তার প্রশাসনের সামনে বুকে সাহস নিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, অনেকে মৃত্যু বরন করেছে। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষক দল কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছেলেরা যদি কৃষকের জন্য কাজ করে সেই কৃষির উন্নয়ন দ্রুত হবে। মানুষ যেনো অনাহারে না থাকে অন্তবর্তিকালীন সরকারকে এ দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটাই তাদের কাজ।
রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে সম্প্রতি এক উপদেষ্টার বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এটা এক ধরনের অহংবোধে অভিব্যক্তি। একাত্তর কার সৃষ্টি, যুদ্ধ সৃষ্টি, যুদ্ধে বিজয় কাদের, এরশাদকে নামিয়ে যে গণতন্ত্রের আরেকবার বিজয় করেছিলাম এটা কি সুশীল সমাজের অবদান, তখন সুশীল সমাজ সমর্থন দিয়েছে। মাননীয় উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে আমি বলব আপনার কথাবার্তা মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের পুনরাজ্জীবন দেখছি। এটা হতে পারে না। বরং মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সেই তথাকথিত সংস্কারের ফলে হাসিনার মতো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিস্ট, যিনি গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সম্রাজ্ঞী শাসন করেছিল। তার বিরুদ্ধে কথা বললে হয় জেল, না হলে রাস্তাঘাটে নদী নালায় লাশ পড়ে থাকত। এইটাই দেখেছি আমরা সেই সংস্থার ফল। আপনারা যদি প্রকৃতি সংস্কার করেন তাহলে নির্বাচন, গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশগুলো, আইনের শাসন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা এত বিলম্ব হওয়ার কথা না।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলক, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply