নিজস্ব প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় জেলায় অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া। এমতাবস্থায় কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বেড়েছে। রাত থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত কুয়াশা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঝলমলে রোদ। তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।
ভোর থেকে দেখা যায়, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণে রোদ থাকলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। সকালে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোনো কাজ কর্মে। সকালেই কাজে বেড়িয়েছেন চা ও পাথর শ্রমিক, দিনমজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ভোরে শিশিরভেজা সতেজ শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া শীতের ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে, ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
Leave a Reply