বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্নয়ন এবং সংস্কারে শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। কিন্ত এই পরিষদের সদস্য নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন পরিষদে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু? এছাড়া সারাদেশের বিশেষ করে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অনেকেই সাবেক ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর। এক্ষেত্রে তাদের প্রশ্ন ফ্যাসিবাদের দোসর সংশ্লিষ্টদের দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার বা উন্নয়ন কিভাবে হবে। এছাড়া তাদের দিয়ে শিল্পকলার ঐতিহ্য কতটাই বা রক্ষা করা সম্ভাব হবে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উত্থাপন করে ঢাকার নাট্যাঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত মুখ বটতলা থিয়েটারের অন্যতম প্রধান অভিনেতা নিদের্শক মোহাম্মদ আলী হায়দার তার ফেসবুক পেজে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন ‘শিল্পকলা একাডেমি পরিষদে এত আমলা কেন? আমলাদের কি কাজ এখানে? আইন পরিবর্তন করে, তারপর না কমিটি করার দরকার ছিলো। ঢাবির উপচার্য, বেতারের ডিজি, বিটিভির ডিজি, জাদুঘরের ডিজি, বাংলা একাডেমির ডিজি এদের কি কোন কাজকর্ম নাই? এরা কেনো মেম্বার? বাংলা একাডেমির পরিষদ এতো কোন আমলা নাই। শিল্পকলায় এত কেনো? কি কারন? আর থিয়েটারের এত মানুষ কেনো? ডিজি থিয়েটারের বলে পরিষদ থিয়েটারের লোকজন দিয়ে ভরে ফেলার নেপুটিজম আগের ডিজির সময়ে দেখেছি! কিন্তু এখন কেনো? ঢাকার থিয়েটার অঙ্গনের দুইজন যোগ্য মানুষ আজাদ আবুল কালাম ও সামিনা লুৎফা এই পরিষদে থাকার থেকেও অনেক বড় পদ পদবিতে থাকার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু দুইজন তো থিয়েটার নিয়েই কথা বলবেন বেশী। যেকোন একজন থাকলে সমস্যা ছিলো না! শিল্পকলা একাডেমিকে হতে হবে সব সংস্কৃতিসেবীদের স্থান, শুধু থিয়েটারের আধিপত্য এখানে থাকা অনুচিত মনে করি। আট বিভাগ থেকে আটজন প্রতিনিধি সব সময়ই ছিলো। কিন্তু নতুন পরিষদ এ আট বিভাগ থেকে যাদের যুক্ত করা হলো, সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলের সহায়ক লোকজন আছেন বলে নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। তাহলে আর কি লাভ হবে? একটু যাচাই বাছাই তো করবেন। শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক নিয়োগ যেমন প্রশ্নের উদ্রেক করেছে, একাডেমির পরিষদ নিয়েও প্রশ্ন রেখে গেলাম, আর ক্ষোভও প্রকাশ করে রাখলাম’।
Leave a Reply