নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই রাতেই চরজব্বার থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট রাতে পূর্ব চরবটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে একই এলাকার নুরনবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালান। তাঁর এক মেয়ের হার্টের সমস্যা থাকায় ৫০ হাজার টাকা দরকার ছিল। এ জন্য স্থানীয় কয়েকটি বাজারে ভিক্ষা করে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করেন। ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়া তাঁর স্বামী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রায়ই গালিগালাজ করতেন। এভাবে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে কিছুদিন আগে কাজের সন্ধানে শারমিন ঢাকা চলে যান। পরে স্বামীর পরিবারের লোকজনের কথায় পুনরায় ফিরে যান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট রাতে শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী বেলাল সওদাগর নামের এক ব্যক্তি ভরসা দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে প্রথমে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ওইদিন রাত ১২টার দিকে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্বশুর আব্দুল হাদি, জা কুলসুমা, নার্গিস, ভাসুরের ছেলে শেখ ফরিদ, হাসান, ভাগনে রাসেল, স্বামী নুরনবী ও তাঁর বোন ছাহেরা খাতুন আমার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়। আমি এতিম, আমার মা-বাবা কেউ নেই। আমার খালাতো ভাইয়েরা আমাকে লালনপালন করে বিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তারাই আমাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরনবীর ব্যবহৃত মোবাইলে নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা একটি ভিডিওচিত্র এক গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। ভিডিওচিত্র দেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply