মানবতার কন্ঠ রিপোর্ট:
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্য হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১ জনে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার হাজার ২২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ২৩৭ জন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু এবং ৫৪৮ জন হাসপাতালে, ১৫ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৪৮৬ জন হাসপাতালে, ১৬ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ২৬৭ জন হাসপাতালে, ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৮৭২ জন হাসপাতালে, ১৮ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মৃত্যু এবং ৮৬৫ জন হাসপাতালে, ১৯ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮৮৭ জন হাসপাতালে এবং ২০ সেপ্টেম্বর দুইজন মৃত্যু এবং ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ২৬৬ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৭ জন। মারা গেছেন ১২৪ জন।
চিকিৎসকরা জানান, জুলাই-অক্টোবর ডেঙ্গুর মৌসুম। সময়ের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম কম থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে ডেঙ্গুরোগী বাড়ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন নতুন রোগী আসছেন। তাই শয্যার চেয়েও রোগীর সংখ্যা বেশি। সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, হামলাকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কার্যালয়ে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে করে কার্যালয়ের নিচের অংশ পুড়ে যায়। একটি বৌদ্ধমন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ এবং বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শহরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply