নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি হাসলপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীনদের কাছ থেকে বিল না নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে।
অপরদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিংসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এ সকল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিংসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে আগামীকাল রোববার বৈঠকে করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে।
১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ১৬ জুলাই গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু হয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
সেই থেকে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই।
তবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Leave a Reply