1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

দেশজুড়ে সংঘর্ষে নিহত ৭২

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মানবতার কন্ঠ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে পালিত হচ্ছে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কর্মসূচি পালনকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে ১৬ জেলায় পুলিশ সাংবাদিকসহ ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ।

রংপুর:
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তার নাম খসরু। তবে, পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর সিটি কর্পোরেশনের সামনে, সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি ও পায়রা চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

বগুড়া:
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় রোববার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মুনিরুল ইসলাম (৩৪)। বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন পালনে সকাল ১০টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নিলে আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করে। সে সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ১২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ:
মুন্সীগঞ্জে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। পর্যবেক্ষণ শেষে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

কুমিল্লা:
কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে পুলিশসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দেবিদ্বারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে আবদুল্লা রুবেল (৩৩) নামে এক ব্যক্তি এবং অজ্ঞাত পরিচয় অপর এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় ঢুকে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে পৌর এলাকার বনিয়াপাড়ায় এবং ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় মারা যান তিনি।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া বলেছেন, সংঘর্ষ চলাকালে রুবেল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

নিহত আবদুল্লা রুবেল পেশায় বাস চালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তিনি বারেরা এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে।

আন্দোলনকারীরা জানান, সড়কে বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন রুবেল। তাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুরাতন ভবনে আগুন দেন। পরে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আগুন দেন তারা। এর আগে, পুলিশের একটি প্রাইভেটকার ও রেকারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পুলিশ কনস্টেবল এরশাদ মিয়াকে
হাইওয়ে থানায় একা পেয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে থানায় হামলা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ শহর ও রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ৯ জন নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ শহরে মারা যাওয়া তিনজন বিএনপির নেতাকর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

এদিকে, জেলার রায়গঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ইলিয়াস এবং সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন সরকার নিহত হয়েছে। এমনটি দাবি করেছেন চাঁন্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম আহমেদ। নিহত আল-আমিন সরকারের বড় ভাই হলেন সেলিম আহমেদ।

এছাড়া, একই উপজেলার ধর্মগাছা উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার লিটন, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাত টিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ কুমার মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান।

সিরাজগঞ্চ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, আজ শহরে সংঘর্ষ চলাকালে মারা যাওয়াদের মধ্যে জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক রঞ্জু রহমান রয়েছেন। বাকি দুই জন হলেন- সুমন শেখ (২৮) এবং আব্দুল লতিফ (৪২)। তারা যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী।

নিহত রঞ্জু রহমান শহরের পৌর এলাকার মাসুমপুর মহল্লার মাজেদ রহমানের ছেলে। সুমন শেখ ও আব্দুল লতিফ একই মহল্লার বাসিন্দা।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘আন্দোলনে কয়েকজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই।’

ফেনী:
ফেনীতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন পথচারী ও সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ। রোববার দুপুরে মহিপাল এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল আট জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফেনী সরকারি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (২০), সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২১) এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৯)।

আরএমও ডা. আসিফ ইকবাল জানান, পাঁচ জনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আনা হয়েছিল। তারা সংঘর্ষে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

আবদুল কাদের নামে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত আর কিছু বলতে পারছি না।’

এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে তাদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা:

রাজধানীতে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের দুজনের নাম জানা গেছে। একজন রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩)। দুপুরে রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। অপরজনের নাম তৌহিদুল। বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে মারা যান তিনি।

অন্যদিকে, সাভারের আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আহমেদুল হক তিতাস এতথ্য জানান। তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে মৃত অবস্থায় একজনের মরদেহ রেখে যান ৪-৫ জন যুবক। নিহতের পিঠে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘নিহতের বিষয় কোনো তথ্য জানা নেই।’

নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। গুলিবিদ্ধ অপরজনের নাম রায়হান। তিনি বাইপাইল এলাকায় সড়কের পাশে পানি বিক্রি করেন।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহমেদুল হক তিতাস বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে চার-পাঁচ জন যুবক আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মরদেহটি হাসপাতালে রেখে তারা চলে যান। নিহতের পিঠে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া হাতে গুলিবিদ্ধ আরও একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। তারা মিছিল নিয়ে বাইপাইল এলাকায় গিয়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। এ সময় আশপাশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

নরসিংদী:
নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয় জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে মাধবদী বাজার বড় মসজিদ এলাকায় সংঘর্ষটি হয়। নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতদের মধ্যে তিন জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- চরদীঘলদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন, সদর উপজেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার ও আওয়ামী লীগ নেতা মনির। বাকি তিন জনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুপুরে একটি মিছিল নিয়ে মাধবদী বড় মসজিদের দিকে এগোতে গেলে অপরদিক থেকে পৌরসভা বিএনপি সভাপতি আমানুল্লাহ’র নেতৃত্বে কয়েকশ’ মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যান দেলোয়ারসহ অনেকে মাধবদী বড় মসজিদের ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেসময় বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদেরকে হত্যা করে।’

এ বিষয়ে জানতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

পাবনা:
পাবনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২৭ জনসহ আহত ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড় চত্বরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান।

নিহতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার হাজীরহাট বেতেপাড়া এলাকার আরাফাত হোসেন মাহবুবুল (১৬), বলরামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও একই গ্রামের ফাহিম হোসেন রাজ্জাক (১৭)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রাণ কেন্দ্র আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড় চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন।
তারা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সমাবেশে পেছন থেকে (হাসপাতাল রোড এলাকার দিক থেকে) পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ খান ও তার সমর্থকরা হামলা করেন। এসময় অনেকেই আহত হন। তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। তিনজন মারা যান। গুলিবিদ্ধ ২৭ জনসহ আহত অন্তত ৪০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হামলায় তাদের ৪০-৪৫ জন আহত হয়। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনজন মারা যান।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। হঠাৎ করেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’

কে বা কারা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অরুপ পাল আট জনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতদের মধ্যে ছয় জনের নাম পাওয়া গেছে বাকি দুজনের নাম-পরিচয় তৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। নিহত ছয়জন হলেন- কাউছার, সাব্বির, ওসমান গনি, আহসান ও হারুন মেম্বার।

এর আগে, আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ঝুমুর, মাদাম ব্রিজ এবং তমিজ মার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সকালে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ তামিজ মার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসায়। এসময় আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বাসার সামনে গেলে তাদের লক্ষ্য করে বাসার ভেতর থেকে শটগানের গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে আন্দোলনকারীরা টিপুর বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরএমও ডা. অরুপ পাল জানান, অর্ধশতাধিক আহত রোগীকে হাসপাতাল আনা হয়েছে। তিন জনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এছাড়া, দুপুরে আহত অবস্থায় দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে একজন পথেই মারা যান। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত তিন জনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।’

বরিশাল:
বরিশালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম টুটুল চৌধুরী (৬০)। তিনি বরিশাল মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এ এস এম সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত টুটুলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে বরিশাল বিএম কলেজের সামনে সমাবেত হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে তারা নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে তারা মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় জড়ো হন। আন্দোলনে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। এসময় বরিশালের সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণের সব জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর ১২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা চৌমাথার কাছাকাছি করিম কুটির মসজিদ সংলগ্ন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের বাসায় অগ্নিসংযোগ করে। তখন সেখানে রাস্তার ওপরে থাকা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর বটতলা এলাকা থেকে একত্রিত হয়ে চৌমাথার দিকে যান। করিম কুঁটির মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। গুলিতে ১৬ জন আহত হয়ে শেরই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সংঘর্ষে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দায়ের কোপে ও লাঠির আঘাতে বরিশাল নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরী নিহত হন।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এ এস এম সায়েম জানান, নিহত টুটুলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আঘাত এমনভাবে করা হয়েছে যে মাথার খুলির ভেতরে থাকা অনেক কিছুই বাইরে বের হয়ে গেছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল ৫ টার পর অন্দোলনকারীরা চৌমাথা এলাকা ছেড়ে পিছু হটে নবগ্রাম রোডের দিকে চলে গেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৬ জন গুলিবিদ্ধের কথা স্বীকার করলেও আহতের সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।

কক্সবাজার :

কক্সবাজার শহরে ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের গুনগাছ তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো. আশিকুর রহমান। তবে নিহত ব্যক্তির তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) সংঘর্ষের সময় আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায় আগুন দিলে আগুনে পুড়ে অঞ্জনা বেগম (৩২) ও তার ৭ বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু হয়। এ নেতার বাসার কাছে যুবলীগ কর্মী মবিনকেও (৩৮) হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে রুবেল আব্দুল্লাহ নামে (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি শহীদী মসজিদের কাছে সংঘর্ষের সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

নিহত অঞ্জনা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসার দারোয়ান আলম মিয়ার স্ত্রী। আলম মিয়া ও তার ছেলে সাদেকও গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার যশোদল গ্রামে। আহতরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ বাসা থেকে আটকে পড়া অন্তত ৩০জন নারী-পুরুষকে উদ্ধার করে। আর দুজন হামলাকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। বাসার পাশ থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি যুবলীগ কর্মী বলে জানা গেছে। এসব ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

সিলেট:

সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশের গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)।

রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শাহিন আহমদ দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত দুজনের শরীরে গুলি রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো বক্তব্য দেয়নি।

হবিগঞ্জ :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ শহরে সংঘর্ষে রিপন শীল (২৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা শহরের অনন্তপুর এলাকার রতন শীলের ছেলে। হামলা ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা সদরের টাউন হল রোডে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে রিপন শীল নিহত হন।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মুমিন উদ্দিন রিপন শীলের মত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোলা :
ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রবিবার (৪ আগস্ট) জেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।প্রায় ৪/৫ ঘণ্টাব্যাপী শহরে তাণ্ডবে একজন নিহত এবং অর্ধশত আহতের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তিনি নতুন বাজার এলাকার ছাতার মেরামতের মিস্ত্রী ছিলেন। আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ অফিস, পৌরভবন, ডিস অফিস, এসপি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে জলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং মোটর সাইকেল। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকাল ৫ টার দিকে আন্দোলনকারীরা ভোলা খাদ্য অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। তবে নতুন বাজার এলাকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মানুষের মাঝে ব্যাপক আতংক বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভোলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সহিংস হামলার ঘটনায় তিনি নিজে সহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews