1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্ক

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

মানবতার কণ্ঠ ডেস্ক

নদীবেষ্টিত মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। তবে মুন্সীগঞ্জে রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে যা বলা হচ্ছে তার কতটুকু সত্য―এমন প্রশ্নও রয়েছে অনেকের মনে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১৯ জুন) লৌহজংয়ে একটি সাপ ধরা পড়ে।

পদ্মা অববাহিকা ধরে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলায় রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ছে। মুন্সীগঞ্জ এর বাইরে নয়। মুন্সীগঞ্জে সর্বপ্রথম রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ে ২০১৯ সালে। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল পদ্মা তীরবর্তী লৌহজংয়ের ঘোড়দৌড় বাজার এলাকায় গৌতম কুমার সাহার বাড়ি থেকে একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করেন স্থানীয় সাপুড়েরা।

২০১৮ সালের শেষের দিকে পদ্মার চর হতে অজগর সাপ ভেবে একটি রাসেলস ভাইপারকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে এক ব্যক্তি। এরপর সেটির কামড়ে তিনি মারা যান।এটিই এই জেলায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে প্রথম মৃত্যু বলে ধরে নেওয়া হয়।

২০২০ সালে সদর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরের বাংলাবাজার ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের আবুল হোসেনের মাছ ধরার চাইয়ে ধরা পড়ে রাসেলস ভাইপার। সে বছর ২৩ আগস্ট পদ্মা তীরবর্তী টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পাঁচগাঁও ইউনিয়নের দশত্তর গ্রামের রাসেল ঢালী নামের এক ব্যক্তি একটি রাসেলস ভাইপার সাপ আটক করে। ওই বছর ২৯ নভেম্বর আরো একটি রাসেলস ভাইপার সাপ আটক করে পদ্মা তীরবর্তী দিঘিরপাড় ইউনিয়নের মিতারা এলাকার অপু বিশ্বাস। পরে সেটি চট্টগ্রামের ভেনাস সেন্টারের কর্মকর্তারা নিয়ে যায়।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে লৌহজংয়ের কনকসার গ্রামের টিংকু বর্মণ (২৩) ঘরে খাবার খাওয়ার সময় রাসেলস ভাইপারের আক্রমণের শিকার হন। তবে দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই বছর নভেম্বরে বেজগাঁও ইউনিয়নে সুন্দিসার গ্রামের একটি চর থেকে রাসেলস ভাইপার আটক করে গ্রামবাসী। একই মাসে সদরের মেঘনা নদীর তীরে কালির চলে রাসেলস ভাইপারের আক্রমণের শিকার হন আরো এক ব্যক্তি।সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১৯ জুন) পদ্মা তীরবর্তী লৌহজং-টেউটিয়া ইউনিয়নের বড়নওপাড়া গ্রাম হতে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামবাসী। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে পুরাতন থানার কোয়ার্টারসংলগ্ন একটি গাছের আড়ালে সাপটিকে দেখতে পায় স্থানীয় ব্যবসায়ী পলাশ মাদবর (২৫)। পরে সাপুড়ে খবর দেওয়া হলে সাপুড়ে এসে সাপটিকে ধরে নিয়ে যায়। এর পূর্বে গত মঙ্গলবার ১৮ জুন লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নে পদ্মা নদীর একটি চরে রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করতে লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে হতে একটি পোস্ট দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মে. জাকির হোসেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, নদী তীরবর্তী জমিতে যারা কাজ করেন বা রাতে চলাচল করেন হাতের কাছে এমন কিছু রাখুন, যা বাতাসে বা মাটিতে ভাইব্রেশন তৈরি করে। সাপ ভাইব্রেশন ভয় পায়, জমিতে কাজ করতে গেলে সম্ভব হলে গামবুট ব্যবহার করুন।

তথ্য বলছে, রাসেলস ভাইপার সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেতে, বিশেষত নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত ও কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। স্থলভাগের সাপ হলেও এটি পানিতে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। ফলে বর্ষাকালে কচুরিপানার সঙ্গে বহুদূর পর্যন্ত ভেসে নিজের স্থানান্তর ঘটাতে পারে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে। আশপাশে রাসেলস ভাইপারের খাবারের প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews