মানবতার কণ্ঠ ডেস্ক
নদীবেষ্টিত মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। তবে মুন্সীগঞ্জে রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে যা বলা হচ্ছে তার কতটুকু সত্য―এমন প্রশ্নও রয়েছে অনেকের মনে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১৯ জুন) লৌহজংয়ে একটি সাপ ধরা পড়ে।
পদ্মা অববাহিকা ধরে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলায় রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ছে। মুন্সীগঞ্জ এর বাইরে নয়। মুন্সীগঞ্জে সর্বপ্রথম রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ে ২০১৯ সালে। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল পদ্মা তীরবর্তী লৌহজংয়ের ঘোড়দৌড় বাজার এলাকায় গৌতম কুমার সাহার বাড়ি থেকে একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করেন স্থানীয় সাপুড়েরা।
২০১৮ সালের শেষের দিকে পদ্মার চর হতে অজগর সাপ ভেবে একটি রাসেলস ভাইপারকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে এক ব্যক্তি। এরপর সেটির কামড়ে তিনি মারা যান।এটিই এই জেলায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে প্রথম মৃত্যু বলে ধরে নেওয়া হয়।
এদিকে রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করতে লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে হতে একটি পোস্ট দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মে. জাকির হোসেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, নদী তীরবর্তী জমিতে যারা কাজ করেন বা রাতে চলাচল করেন হাতের কাছে এমন কিছু রাখুন, যা বাতাসে বা মাটিতে ভাইব্রেশন তৈরি করে। সাপ ভাইব্রেশন ভয় পায়, জমিতে কাজ করতে গেলে সম্ভব হলে গামবুট ব্যবহার করুন।
তথ্য বলছে, রাসেলস ভাইপার সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেতে, বিশেষত নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত ও কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। স্থলভাগের সাপ হলেও এটি পানিতে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। ফলে বর্ষাকালে কচুরিপানার সঙ্গে বহুদূর পর্যন্ত ভেসে নিজের স্থানান্তর ঘটাতে পারে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে। আশপাশে রাসেলস ভাইপারের খাবারের প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply