নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার মুসল্লি। নামাজ শেষে দেশ ও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের কোটি কোটি মুসলমান আজ দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপন শুরু করছেন। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা, আত্মশুদ্ধি, নিজেদের পাপমোচন এবং পরিবার-পরিজন, দেশ ও মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া চেয়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
এদিকে, জাতীয় ঈদগাহেও ঈদের প্রধান জামাত শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার পাশাপাশি বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদাতবরণকারী পরিবারের সদস্যদের ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও পরিশ্রমকে কবুল করার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ঈদের প্রধান জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশা ও বয়সের মুসল্লিরা অংশ নেন।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
Leave a Reply