নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই ‘মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে’ জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ কীভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড পেলেন, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের অনুমোদন পেয়েছে কমিশনের এনআইডি শাখা।
গতকাল রোববার (৯ জুন) নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে গত ২১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
জেনারেল (অব.) আজিজ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নেতৃত্ব দেন।
হারিস ও জোসেফ দুজনেই এখন বিদেশে আছেন বলে ধারণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সাজা মওকুফের জন্য জোসেফের মা যে আবেদন করেছেন, সেখানে আব্দুল ওয়াদুদ ও রেনুজা বেগমকে জোসেফের বাবা-মা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজিজ আহমেদের ভাই তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের দুটি এনআইডি রয়েছে। তোফায়েলের একটি এনআইডি কার্ডে বাবা-মায়ের নাম ছিল আব্দুল ওয়াদুদ ও রেনুজা বেগম। আরেকটি এনআইডি কার্ডে নিজের নাম তানভীর আহমেদ তানজিল এবং বাবা-মায়ের নাম সুলেমান সরকার ও রাহেলা বেগম দেখানো হয়েছে।
আর সুলেমান সরকার ও রাহেলা বেগমকে বাবা ও মা হিসেবে দেখিয়ে মোহাম্মদ হাসান নামে একটি এনআইডি কার্ড নিয়েছেন হারিস। ২০১৯ সালে এনআইডি কার্ডে তার ছবিও পরিবর্তন করেছিলেন। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এই ছবি পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেছিলেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ অনুযায়ী, এনআইডি কার্ড পাওয়ার জন্য মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এনআইডি কার্ড জাল করা বা জেনেশুনে জাল কার্ড বহন করলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি এনআইডি কার্ড জাল করতে সহায়তা করেন, তবে তাকেও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply