নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট গণমুখী, বাস্তবসম্মত।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৪০ শতাংশ লোককে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখে গেছে। শেখ হাসিনা সরকার ১৮ শতাংশে আর অতিদরিদ্র ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে এখন শুধু ডালে ভাতে নয়, পুষ্টি উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিএনপি বড় বড় কথা, অর্থপাচারের কথা, কাল টাকার কথা, দেশকে গিলে খাবার কথা বলে। তাদের সর্বশেষ বাজেট ছিলো ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও বাজেটের আগে সাইফুর রহমানকে কনসোর্টিয়াম বৈঠকে দৌড়াতে হয়েছিলো। আমাদের ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে আমাদের কোন অর্থমন্ত্রী বিদেশে দোড়ায়নি। তাহলেই বুঝতে পারেন দেশটা কোথায় পৌঁছেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে বলেছেন, মাছ ধরতে গেলে আদার দিতে হয়। এখন সিপিডি, টিআইবি, সুজন কি বললো এটা নিয়ে আদের কোন মাথাব্যথা নেই। এরা সবাই বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলছে। বাস্তবতার সঙ্গে কাজের কোন মিল নেই।
তিনি বলেন, ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ উন্নয়নে অর্জনে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এই বাজেট এইবারও গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি। সেটা আমরা বলেছি কি কারণে।
১৫ শতাংশ কর দিয়ে টাকা মূলধারায় আনার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যাংকের মূলধন বাড়বে। এই সুযোগ দানের মাধ্যমে অন্যায় বা অবৈধ কাজের শাস্তি মওকুফের সুযোগ নেই। এটা প্রচলিত আইনেই সম্ভব। ট্যাক্স রিটার্ন তৈরি করাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক সময় ট্যাক্স রিটার্নে সকল সম্পদ আসে না। এই টাকাটা মূলধারায় আনার জন্যই এই সুযোগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণতা সম্পন্ন হবার কারণে ৬.৭৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি স্থির করা হয়েছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ লক্ষ অর্জন সম্ভব হবে।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply