1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লক্ষ্যমাত্র ১৭৯ মে.টন থাকলেও আমনের চাল উৎপাদন হয়েছে ১৫৭ লক্ষ মে. টন আবেগঘন চিরকুট লিখে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহনন ডিসেম্বর মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে সব ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন বৈষম্যহীন সাংবাদিক ইউনিটির (এনজেইউ) আত্মপ্রকাশ তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি, খোঁজা হচ্ছে বাসা উপদেষ্টা মাহফুজের ফেসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের মেয়ে কানাডা থেকে আসার পর হাসান আরিফের দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ড. ইউনূস ও উপদেষ্টাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে ভিডিও প্রচার, সত্যতা জানালো রিউমর স্ক্যানার কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, তুরাগ এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রত্যাশা না হতাশার বাজেট, অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

আফরোজা তালুকদার

দ্রব‌্যমূল‌্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির বেহাল দশার এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী বাজিটের জন‌্য। তাদের কৌতুহল সাথে উদ্বিগ্নতা আগামী অর্থবছর কেমন যাবে, কোন পণ্যের দাম কমবে, কোন পণ্যের দাম বাড়বে, মূল্যস্ফীতির হাল কী হবে, সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ আদৌ বাড়বে কি না, বেতন-ভাতার কাঠামো কী হবে, আমদানি-রফতানিতে নতুন কী কী সুবিধা যোগ হবে–এসবের উত্তরের জন্য মুখিয়ে আছে দেশের প্রতিটি খাতের মানুষ। ভোরের আলো ফুটে অপরাহ্ণের আগেই উত্থাপিত হবে বাজেট, উন্মোচিত হবে নতুন বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির নানাদিক।

জনগনের আশা আকাক্ষার বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উত্থাপিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।

আগামীকাল বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৫৩ তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। 

এই বড় অঙ্কের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছর সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের জোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
আগামী অর্থবছর ফের সুযোগ দেয়া হতে পারে কালোটাকা সাদা করার। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আসতে পারে। এই সুযোগ দেয়া হতে পারে এক বছরের জন্য।
বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার সম্ভাবনা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেখানে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
ধনী-গরিবের আয়বৈষম্যে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থায় যেন ভেসে না যায় নিম্ন আয়ের মানুষ, সে জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা ২০০ টাকা, ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক নাগরিকের ভাতা ৩০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটে।
 
এবারের বাজেটে নতুন করে যোগ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা রকমের পরামর্শ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, গত বছর বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেনি, বা তা অনুসরণ করার জন্য সরকারের ওপর তেমন চাপও ছিল না। সরকার তার ইচ্ছেমতোই বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবার কিন্তু আইএমএফের পরামর্শ ও বিভিন্ন শর্ত মেনেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।
 
সরকারের আগের বছরগুলোতে নেয়া ঋণের প্রভাব আসন্ন বাজেটে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারকে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর শুধু সুদই পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ঋণ পরিশোধ করে নানা প্রসঙ্গে সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে মত তাদের।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞে দেশের সরাসরি উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণসহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় সংকোচনের নামে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩২৬টি প্রকল্প কমানো হলেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।
জনগণের উন্নয়নে এই ব্যয়-বরাদ্দের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি, ভর্তুকি প্রণোদনায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার মতো অনুন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হতে পারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার।
 
এই রাজস্ব আদায় বাড়াতে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করকাঠামো পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি। যেখানে বাড়ানো হতে পারে বেশি আয় করা ব্যক্তিদের কাছে কর আদায়ের স্তর। বাড়তে পারে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্কের পরিমাণ।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews