আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ২ হাজারের বেশি মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়েছে। জাতিসংঘের কাছে লেখা একটি চিঠিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাপুয়া নিউগিনি সরকার।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাপুয়া নিউগিনির দুর্যোগ কেন্দ্র আজ সোমবার (২৭ মে) পোর্ট মোরেসবিতে অবস্থিতি জাতিসংঘের কার্যালয়কে একটি চিঠি লিখেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তরাঞ্চলের এনগা প্রদেশের পোরগেরা-পাইলা জেলার প্রত্যন্ত মুলিতাকার ছয়টি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এতে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবন্ত চাপা পড়েছে।’
গত শুক্রবার ভোরে এনগা প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশির ভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিল। পাপুয়া নিউগিনির দুর্যোগ অফিস জানিয়েছে, ভূমিধসের ফলে অসংখ্য ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। অসংখ্য ফসলের খামার ও ফলের বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
সোমবার সকালে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা চিঠি পাওয়ার পর বলেন, ‘পোরগেরা খনির পাশের প্রধান সড়ক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
এর আগে পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুব দুর্গম একটি এলাকা। উদ্ধার তৎপরতা চলাতে আমরা ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করেছি। এছাড়া মাটির স্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার, সৎকার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
কাওকালাম গ্রামের কাছেই পোরগেরা স্বর্ণ খনি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে স্বর্ণখনি খোঁড়াখুঁড়িই এ ধসের ঘটনা ঘটেছে।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply