1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afruja Talukder : Afruja Talukder
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন

রাফাহ’ হামলার দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে উত্তর গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দারা দক্ষিণ গাজার দিকে পালিয়ে আসলে দক্ষিণ গাজায়ও হামলা চালায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান থেকে পালিয়ে মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় অবস্থান নেই অসহায় ফিলিস্তিনিরা। গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ অবস্থান করছে এই ছোট্ট শহরটিতে। বর্তমানে শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে।

এবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় এগোচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযান নিয়ে এরইমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে মিসর। দেশটি বলছে, ইসরায়েলি অভিযানে রাফায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র বলেন, রাফায় স্থল অভিযানের জন্য এগোচ্ছে ইসরায়েল। তবে এ অভিযান কবে শুরু হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি ইসরায়েল সরকারের ওই মুখপাত্র।

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাফায় ৪০ হাজার তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন করে সেনা থাকতে পারবে।

বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের মিত্ররা ও সমালোচকরা রাফায় আক্রমণ করা বন্ধ রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, শহরটি হামাসের অন্যতম একটি শক্তিশালী ঘাঁটি, তাদের পরাজিত করতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানো দরকার।

এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, রাফাতে যে কোনও সামরিক অভিযান মানবিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপর্যয়কর হবে।

রাফা মিসর সীমান্তবর্তী একটি শহর। ছয় মাস আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই শহরটিতে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল দক্ষিণ গাজা থেকে তাদের বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করেছে কিন্তু দেশটি বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে আরও হাজার হাজার মরদেহ। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ইসরাইলের একটি সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার অনুমোদনের জন্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে, প্রায় এক মাস সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি অীরড়ং রিপোর্ট অনুযায়ী, শীর্ষ ইসরাইলি গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তারা বুধবার কায়রোতে মিশরের গোয়েন্দা প্রধান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাথে রাফাতে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্ভাব্য অপারেশন নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ওয়াশিংটন এখনও রাফাহ সম্পর্কে ইসরাইলের সাথে কথা বলছে এবং উভয় দেশের কর্মকর্তারা শীঘ্রই আবার ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সাত মাস পেরিয়ে গেছে। হামাস নিধনে এখনও গাজায় অগ্নিবর্ষণ করছে ইসরাইলি ফৌজ। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews