স্পোর্টস ডেস্ক:
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, সেটা হোক ফুটবল, ক্রিকেট বা হকি। যার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল হকি প্রিমিয়ার লিগে। এদিন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। এতে আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করে আম্পায়ার।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ছয় বছর পর লিগ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও নাটকীয়ভাবে তৃতীয় কোয়ার্টারে ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে দেয় তারা।
সেই তৃতীয় কোয়ার্টারের দুই মিনিট ২৭ সেকেন্ড সময় বাকি থাকতেই বাঁধে বিপত্তি। তার কিছুক্ষণ আগে আবাহনীর পেনাল্টি কর্নার রুখে দেয় মোহামেডান। কিন্তু এরপর যা ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দুই দলের খেলোয়াড়রা লিপ্ত হয়ে পড়েন ধাক্কাধাক্কিতে। যা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ম্যাচ অফিসিয়ালদের।
এ সময় মোহামেডানের জুল পিদাউস ও আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান আম্পায়ার। প্রায় মিনিট খানেক বাদে আবাহনীর মো. নাঈমুদ্দিন এবং মোহামেডানের দুই খেলোয়াড় দ্বীন ইসলাম ও তানভীর সিয়ামকে দেখানো হয় লাল কার্ড।
আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে বেঁকে বসে মোহামেডান। আবাহনী খেলতে রাজি থাকলেও মাঠের বাইরে চলে যায় সাদা-কালোরা। ম্যাচের আগের দিন হলুদ কার্ডের কারণে রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কম ‘নাটক’ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত জিমিকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান। দারুণভাবে প্রত্যাবর্তনের পর ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে শিরোপা জয়ের পথেই ছিল তারা। কিন্তু মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আবাহনীকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
এই জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট হল ৩৭। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া মেরিনার্সের পয়েন্টও একই। তাই বাইলজ অনুযায়ী, শিরোপা নির্ধারণের জন্য প্লে-অফ ম্যাচ খেলার কথা। তবে গুঞ্জন আছে, দুদলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ২৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পুষ্কর খীসা মিমো।
এরপর মোহামেডানের হয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেন মালয়েশিয়ান ফয়সাল বিন সারি। তার হ্যাটট্রিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখার চেয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়াকেই উত্তম মনে করছে তারা।
Leave a Reply