মুন্সীগঞ্জ, সংবাদদাতা,
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরিফ হালদার চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দেয়ায় তার পরিবারের ৫চনকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ কবির হাওলাদার জানান, ৮ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার দিঘিরপাড় বাজারে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জনসম্মুখে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য সোহরাব খানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ব্যস্ততম দিঘিরপার বাজারের ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজসহ প্রকাশ্য ঘটনা বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করে। টঙ্গীবাড়ির বাসিন্দা মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক প্রভাবশালী চেয়ারম্যান প্রার্থীর রোষানলে পরে লোহমর্ষক হত্যাকাণ্ডটিকে নির্বাচনের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল হাতিয়ার হিসেবে নেয়া হচ্ছে। এই লাশের রাজনীতি আর ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে টঙ্গীবাড়ীর জনগণ । সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মৃত জগলুল হালদার ভূতুর পরিবারকে উপজেলা। নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে এই ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন। কবির হালদার বলেন, প্রয়াত জগলুল হালদার ভুতুর দুই পুত্র দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা আরিফ হালদার ও কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান খুকু হালদার তাঁর ছোট ভাই আমি (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির হালদার) দুই ভাতিজা যুবরাজ ফয়সাল হালদার ও সবুজ হালদারকে আসামী করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে- প্রকাশ্য এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী ইউনিয়নটির সাবেক মেম্বার আসলাম হোসেন ভোলা হালদার তার দুই পুত্র রিজভী হালদার ও কিন্তু এছাড়া রিহান হালদার। আসামী করা হয়েছে রাসেল হালদার, ইউপি মেম্বার আবু কায়সার সোহেল, আনিছ হালদার এবং দিদার হালদারকে।প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আসামী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি সুমন হালদার। তিনি জানান, আরিফ হালদার সহ হালদার পরিবারের সদস্যদের আসামী করতে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী রোজার মধ্যে লোক ভাড়া করে থানার সামনে প্রতিবাদ করা হয়। ধীপুর মোড়ের মাসুমের দোকান প্যাকেট করে খাবার বিতরণ করা হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন সাংবাদিক জানান, থানার সামনের প্রতিবাদ সবার সংবাদ করতে কাজী ওয়াহিদ প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে দিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার জানান, সম্পূর্ণ হয়রানী করার জন্য একটি গ্রুপের সহযোগিতায় আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের আসামী করা হয়েছে। মৃত সোহরাব খানের সাথে আমাদের কোন বিরোধ ছিল না। আমরাও চাই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply