আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় বেসামরিকদের ও ত্রাণ কর্মীদের সুরক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ইসরায়েলের বিষয়ে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এক টেলিফোন কলে এ সতর্কতা জানান বাইডেন।
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ত্রাণ কর্মীদের ওপর ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার পর বেসামরিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত কঠোর অবস্থানের জানান দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলার ঘটনার পর বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দলীয় সহকর্মীরা ইসরায়েলকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় শর্ত আরোপ করার জন্য নতুন করে আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের আজীবন সমর্থক বাইডেন দেশটিতে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা আটকে রাখা অথবা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখার চাপ প্রতিরোধ করে আসছিলেন। এবার তিনি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলকে দেওয়া সহায়তায় সম্ভাব্য শর্ত আরোপ করার হুমকি দিলেন। এটি ছয় মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে।
দুই নেতার কথোপকথনের বিষয়ে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, “বেসামরিকদের ক্ষতি, মানবিক দুর্ভোগ চিহ্নিত এবং ত্রাণ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্ট, বাস্তব ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে বলে বাইডেন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।”
বাইডেন ও নেতানিয়াহু প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন। এ সময় বাইডেন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন ‘এসব বিষয়ে ইসরায়েলের আশু পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতি নির্ধারিত হবে’।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। জাতিসংঘে গাজা নিয়ে তোলা অধিকাংশ প্রস্তাবে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কূটনৈতিক ঢাল হিসেবে কাজ করেছে।
বাইডেনের কলের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি ইসরায়েল ও গাজা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতিতে সুনির্দিষ্ট কী পরিবর্তন আনতে পারে তার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যে’ ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলোর একটি ঘোষণা দেখার আশা করছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্নে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাল হাইনরিখ বলেছেন, “আমার মনে হয় এটি এমন কিছু যা ওয়াশিংটনেরই ব্যাখ্যা করা উচিত।”
পরে ইসরায়েল মানবিক সহায়তা সরবরাহ বাড়াতে গাজার ভূখণ্ডের নিকটবর্তী তাদের আশদোদ বন্দর এবং জর্ডান থেকে সরাসরি সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী ইরেজ ক্রসিং খোলার পদক্ষেপ নিলে হোয়াইট হাউজ স্বাগত জানায়।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র এড্রিয়েন ওয়াটসন ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এগুলো এখন পুরোপুরি ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
Leave a Reply