দৈনিক মানবতার কন্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের চতুর্দশ জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ১৮তম সম্মেলন গত (শুক্রবার) আইনগতভাবে ২৫ অক্টোবরকে ‘তাইওয়ান পুনরুদ্ধার দিবস’ হিসেবে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন পদ্ধতিতে স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানবাসীসহ সব চীনা জনগণ জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে মহান বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মাধ্যমেই তাইওয়ান মুক্ত হয়েছিল এবং মাতৃভূমির কোলে ফিরে এসেছিল।
তাইওয়ানের এই মুক্তি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিজয়ের এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অকাট্য প্রমাণ যে, চীন সরকার তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্বের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি তাইওয়ানের চীনের অংশ হওয়ার ঐতিহাসিক ও আইনি ভিত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র। এই দিবসটি তাইওয়ান প্রণালীর উভয় তীরের স্বদেশীদের জন্য একটি যৌথ গৌরব এবং সব চীনা জনগণের জাতীয় স্মৃতি।
এক-চীন নীতি মেনে চলা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করার সংকল্প প্রদর্শনের জন্য চীনের সংবিধান অনুযায়ী এই দিবস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৪৫ সালের ২৫ অক্টোবর, তাইপেইতে চীনের যুদ্ধক্ষেত্রে তাইওয়ান প্রদেশের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং তাইওয়ান ও পেংহু দ্বীপপুঞ্জ চীনের সার্বভৌমত্বে ফিরে আসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি, জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য এবং তাইওয়ানবাসীরা বারবার ‘তাইওয়ান পুনরুদ্ধার দিবস’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এই পদক্ষেপ ‘তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’—এই ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করতে সহায়ক হবে।
সূত্র:শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
Discover more at Max-Zero
Powered by Max-Zero
Leave a Reply