1. nurnobi.kuet16@gmail.com : Md Nur Nobi Khan : Md Nur Nobi Khan
  2. admin@manabatarkontho.com : admin24 :
  3. afruja@gmail.com : Afroja Talukder : Afroja Talukder
  4. manabatarkontho@gmail.com : Afroja Talukder : Afroja Talukder
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
এপেক্স ক্লাব রুহুল আমিনের নতুন সভাপতি এপেক্সিয়ান মন্জু, সেক্রেটারি এপেক্সিয়ান সবুজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগের দিন যা ঘোষণা দিল মির্জা ফখরুল ডেঙ্গুতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সিলেটে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কত হাজার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করল এনসিপি? রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ককটেল বিস্ফোরণ, পথচারী আহত ১। বেগমগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৩ হাদির নির্বাচনী প্রচারণায় গায়ে ছুড়ে মারল ময়লা পানি যারা একসময় মজলুম ছিল তারা এখন জালিম হচ্ছে : তথ্য উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা ‘শাঁখের করাতে’ রয়েছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রাখছে। এছাড়া রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা ‘শাঁখের করাতে’ রয়েছি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (১ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে। কিন্তু আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য দখলে নেওয়ার পর থেকে সীমান্ত বাণিজ্যের জাহাজ আসা যাওয়ায় তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এরইমধ্যে অনেক জাহাজ তারা আটকে রেখেছিল। ধরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশি অনেক জেলেকে। এসব ঘটনা স্বাভাবিক বাণিজ্য পরিস্থিতি ব্যাহত করছে। এ কারণে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের স্বার্থে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিংহভাগ দখল নেওয়া আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ঢাকা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, কক্সবাজারে অপহরণ ও মাদকের বিস্তার বেড়েছে। প্রায়ই এসব বিষয় গণমাধ্যমে আসছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) এবং স্থানীয় সচেতনমহল জানেন কারা এসব করছে। মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কাগজে কলমে ১২ লাখ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। এরা আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। এদের প্রত্যাবাসন ছাড়া সীমান্ত এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড থামানো মুশকিল। আবার তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনও সম্ভব নয়। বলতে গেলে রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা ‘শাঁখের করাতে’ রয়েছি।

দলীয় পরিচয়ে পর্যটন এলাকায় দখল-বেদখল, মারামারি ও ছিনতাই বাড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো দলের বদান্যতায় কাজ করছি না। দেশের কল্যাণে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাউকে কোনো দপ্তর থেকে বলে দেওয়া হয়নি, অমুক দলের লোকজনকে সহানুভূতি দেখাতে। কোনো দলের নেতাকর্মী দখল বা অন্য কোনো অপরাধে জড়ালে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা এ বৈঠকেই দিয়ে যাচ্ছি। দলীয় বিবেচনায় নয়, অপরাধ বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

তবে তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনের একটি রোগ জারি হয়ে আছে, তা হলো ক্ষমতায় কে আসতে পারে সেই সম্ভাব্যতা থেকে সেই দলের নেতাকর্মীদের আগাম তেল দেওয়া। এখানে ঊর্ধ্বতন বা মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা থাকে না।

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মানবপাচার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবি যাত্রা শুরু করছে আজ (১ মার্চ)। এসব বিষয় নিয়ে দুদিনের সফরে ২৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার এসেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আল চৌধুরী। ১ মার্চ বিকেলে তিনি কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

এদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘রাখাইনের পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান প্রথম প্রকাশ্যে ‘বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে’ বলে বক্তব্য রেখেছিলেন। এর দুদিন পর কক্সবাজারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন।

তথ্যমতে মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল মিন অং হ্লায়িং। এর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা শুরু হয়। রাখাইনে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আরাকান আর্মি লড়াই করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের পুরো ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে আরকান আর্মি।

বর্তমান সরকারের মতে, যেদিন আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের পতাকা উত্তোলন করেছিল, সেদিনই বোঝা গিয়েছিল এটি একটি নতুন বিশ্ব। ফলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এটা বোঝা গিয়েছিল যে, আরাকান আর্মিকে একটি সংকেত পাঠানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সীমান্ত আমাদেরই রক্ষা করতে হবে, সুরক্ষিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের অন্য প্রান্তে যে আছে তার সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করবো। আমরা একটি নির্দিষ্ট স্তরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠক করেন খলিলুর রহমান, এমনটি জানানো হয়।

সরকারের তরফ থেকে আরও বলা হয়, মানবিক বিবেচনার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার থাকলেও আরাকান আর্মিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আরাকান আর্মিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে উন্মুক্ত সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

 

 

 

 

 

Discover more at Max-Zero

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Manabatar Kontho
Theme Customized By BreakingNews

Powered by Max-Zero